মসজিদের শিলালিপি ঘেঁটে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন মির্জাপুর শাহী মসজিদটি (Mirzapur Shahi Mosjid) ১৬৫৬ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে মসজিদটি কে নির্মাণ করেছেন এটি নিয়ে ঐতিহাসিক মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, মালিক উদ্দিন নামে মির্জাপুর গ্রামেরই এক ব্যক্তি মসজিদটি নির্মাণ করেন। এই মালিক উদ্দিন মির্জাপুর গ্রামও প্রতিষ্ঠা করেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, দোস্ত মোহাম্মদ নামে জনৈক ব্যক্তি মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। তবে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন, মুঘল শাসক শাহ সুজার শাসনামলে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিলো।
মির্জাপুর শাহী মসজিদটি আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে অবস্থিত। ১৬৭৯ খ্রিষ্টাব্দে (সম্ভাব্য) নির্মিত ঢাকা হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত মসজিদের সাথে মির্জাপুর শাহী মসজিদের নির্মাণ শৈলীর সাদৃশ্য রয়েছে। এ থেকে ধারণা করা হয় ঢাকা হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে অবস্থিত মসজিদের সমসাময়িক কালে এ মির্জাপুর শাহী মসজিদের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। দোস্ত মোহম্মদ নামে এক ব্যক্তি এটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন মর্মে জানা যায়। মসজিদের নির্মাণ সম্পর্কে পারস্য ভাষায় লিখিত মধ্যবর্তী দরজার উপরিভাগে একটি ফলক রয়েছে । ফলকের ভাষা ও লিপি অনুযায়ী ধারণা করা হয় মোঘল সম্রা্ট শাহ আলমের রাজত্বকালে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। মসজিদটির দেওয়ালের টেরাকোটা ফুল এবং লতাপাতার নক্সা খোদাই করা রয়েছে। মসজিদের সন্মুখভাগে আয়তাকার টেরাকোটার নক্সাসমুহের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে – একটির সাথে অপরটির কোন মিল নেই, প্রত্যেকটি পৃথক পৃথক। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট, প্রস্থ ২৫ ফুট এবং এক সারিতে ০৩ (তিন) টি গম্বুজ আছে।মসজিদের নির্মাণ শৈলীর নিপুনতা ও দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য এখনও দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে।
মির্জাপুর শাহী মসজিদ
Reviewed by admin
on
মার্চ ২৭, ২০১৮
Rating:

কোন মন্তব্য নেই: